“পার্বত্য চট্টগ্রাম: ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলি”
[১]
পাহাড়ি বন জঙ্গলে বাস করতে করতে সেখানকার মানুষগুলোর স্বভাবও কিছুটা বন্য হয়ে যায়! সভ্যতার সাথে তাদের খুব একটা সখ্যতা গড়ে ওঠেনা।
খাগড়াছড়ি ঘুরতে গিয়ে এক বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। উপজাতিদের উগ্র আচরণ সম্পর্কে কিছুটা বাস্তব ধারণা পেয়েছিলাম তখন।
যাচ্ছিলাম এক বাঙালি ড্রাইভারের সিএনজিতে করে। বৃষ্টি হওয়াতে রাস্তার একপাশে কিছু পানি জমে ছিল। আমাদের পাশ দিয়ে অন্য গাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তার পানি ছিটকে বেশ কয়েকবার আমাদের ভিজিয়ে দেয়। এরকম কত ঘটনাই তো রোজদিন রাস্তাঘাটে ঘটে। আমাদের তাই নিরুপায় হয়ে বসে থাকা ছাড়া আর তেমন কিছু করার ছিল না। কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে অতিক্রম করে আরেকটা সিএনজি যাওয়ার সময় আমাদের সিএনজির চাকা থেকে পানি ছিটকে পাশের সিএনজিতে যায়। সেই সিএনজির চালকের আসনে ছিল একজন উপজাতি। হালকা ভিজে যাওয়ার দরুন সে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের সামনে গিয়ে পথ রোধ করে। তারপর শুরু হয় অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং আমাদের ড্রাইভারকে মারার জন্য সে রড নিয়ে তেড়ে আসে। এ অবস্থায় আমাদের ড্রাইভারও আত্মরক্ষার্থে সিটের নিচ থেকে একটা হাতুড়ি বের করে তাকে প্রতিরোধ করতে যায়। তাদের দুজনের এই ঝগড়া-বিবাদ দেখে মুহূর্তেই আরো কিছু বাঙালি-অবাঙালি সেখানে জড়ো হয়। আমাদের অনুরোধে লোকজন আমাদের ড্রাইভারকে ছাড়িয়ে আনে। ক্ষুদ্র একটি ঘটনার এত বৃহৎ প্রতিক্রিয়া দেখে হতবাক হওয়া ছাড়া আমার আর উপায়ন্তর ছিল না। ঘুরতে এসে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলার সম্মুখীন হবো ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি।
বৃষ্টির দিনে একগাড়ি থেকে আরেক গাড়িতে পানি ছিটকে পড়ার ঘটনা সমতলে মামুলি এক ব্যাপার। এর জন্য এখানে কেউ এমন আক্রমণাত্মক হয়না। তবে শুধুমাত্র পানিতে ভিজে যাওয়ার কারণেই এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা নয়৷ বাঙ্গালীদের প্রতি তাদের চরম বিদ্বেষের সামান্য প্রতিফলন এটা। আমাদের সিএনজি ড্রাইভার পরে বলছিল, উপজাতিদের সাথে তাদের এমন ঝগড়া-মারামারি নাকি এখানে নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে।
[২]
পাহাড়ে বসবাসরত অধিকাংশই নিরীহ ও দরিদ্র উপজাতি। তাদের জীবনযাত্রা খুবই কষ্টকর। প্রকৃতির সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। এসব উপজাতিরা নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত। রাষ্ট্র তাদের মৌলিক অধিকার ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যার্থ। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ থেকেই জন্ম নেয় স্বাধীনতাকামী চেতনা। এই চেতনাকে উস্কে দিয়ে আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহল ব্যস্ত খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্ম প্রচারের আড়ালে পাহাড়ে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে শতাব্দীকাল ধরে চলছে বিপুল জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়া। তাদের উদ্দেশ্য এখানে একটা খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্র গড়ে তোলা। এ কারণেই গণহারে ধর্মান্তরকরণ করছে। মেজরিটি খ্রিস্টান হয়ে গেলে তারা জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় গণভোটের আয়োজন করে এটাকে খ্রিস্টান প্রধান দেশ ঘোষণা করবে। এভাবেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুর ও সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে পৃথক করেছে পাশ্চাত্য বিশ্ব। নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও যে এধরণের ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটবেনা তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ গণভোট ঠেকানোর মতো কূটনৈতিক শক্তি-সামর্থ্য এখনো বাংলাদেশের নেই।
পাহাড়িদের স্বাধীনতাকামী মনোভাবের সাথে তাদের চক্রান্তের সংযোগ ঘটিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হচ্ছে। উভয়ের লক্ষ্যই পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্নকরণ। আর রাষ্ট্র তখনও উপজাতিদের স্বকীয়তা বজায় রেখে তাদেরকে মূলধারার জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো তাদের বাঙালিকরণের চেষ্টা করেছে। ফলশ্রুতিতে জন্ম হয়েছে জেএসএস, ইউপিডিএফ এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু সশস্ত্র সংগঠন। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অন্তঃ কোন্দল বিদ্যমান থাকলেও মুসলিম এবং বাঙালিদের বিরুদ্ধে তারা সর্বদাই একজোট। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোই খ্রিস্টান মিশনারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। ফলে শতবর্ষ ধরে প্রচ্ছন্ন আন্তর্জাতিক সমর্থন ও অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়ে আসছে তারা। উভয়েই একে অপরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে।
পূর্বের ভুলের মাশুল দিতে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাংলাদেশ সরকারকে সাক্ষর করতে হয়েছে আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব বিবেচনায় এই চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা আদৌ সম্ভব হয়নি। এই চুক্তি এমনভাবে লিখা হয়েছে যাতে বাংলাদেশ সরকার তা বাস্তবায়ন করতে না পারে। ফলে অমীমাংসিতই রয়ে গেল পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা। কারণ সমস্যা মীমাংসিত হলে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না।
[৩]
পার্বত্য অঞ্চলের মুসলিম ও বাঙালি অধিবাসীরা উপজাতি সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। সাধারণ নিরীহ দরিদ্র উপজাতিরাও যেন তাদের দাস। পাহাড়কে তারা একান্ত নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে। নিজের মতো করে একে শাসন করতে চায়। তারাই পার্বত্য অঞ্চলে উন্নতির অন্তরায়। পরিবেশ ধ্বংসের অযুহাতে তারা পাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে। অথচ জুম চাষের নামে তারা বনের পর বন জ্বালিয়ে উজাড় করে ফেলছে। আবার কয়েক বছর আগে রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে পাহাড়িদের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও যুব এবং সামাজিক সংগঠন সেটার প্রতিবাদ জানায়। কারণ, পর্যটন কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে পাহাড়ে বাঙালিদের যাতায়াত বাড়বে। তারা চায়না পাহাড়ে বাঙালিরা যাক। বাইরের মানুষজন নিয়মিত যাতায়াত করলে সেখানে তাদের একচ্ছত্র প্রভাব ও দৌরাত্ন্য কমে যাবে। এই আশংকায় তারা পাহাড়ে উন্নয়নের বিপক্ষে। তবে তারা আবার স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে। কারণ স্কুলে তো বাইরের জেলা থেকে কেউ পড়তে যাবেনা।
প্রশাসনের অবহেলা-অদক্ষতা তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে। ফলে দিনদিন তারা আরো উগ্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের উগ্রবাদী উত্থান স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাদের সকল নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে দীর্ঘমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া এখন সময়ের দাবি। কারণ জোরপূর্বক দমন ও আত্মঘাতী শান্তিচুক্তির ফলাফল কখনোই কল্যাণজনক নয়। দক্ষিণ সুদান ও পূর্ব তিমুরের ইতিহাস থেকে তা পরিষ্কার বুঝা যায়। ক্রমাগত উপজাতিদের সাথে সংঘাত ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী নিধনের মতো অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ড সুদান ও ইন্দোনেশিয়াকে শেষ পর্যন্ত ঠেলে দিয়েছিল বিভক্তির মুখে।
পাহাড়ে মুসলিম ও বাঙালি অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। কর্মহীন বেকার বসে থেকে উপজাতি যুবকরা মাদক, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসে জড়িয়ে যাচ্ছে। এসব দমনে তাদের শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর করতে হবে, পাহাড়ের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নয়ন করে সেখানে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে এবং আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি বঞ্চিত থাকার যে ক্ষোভ তাদের মধ্যে পুঞ্জিভূত তাও দূরীভূত হবে। আবার বাঙালিদের সাথে নিয়মিত মেলামেশার ফলে সভ্যতা-সংস্কৃতির দূরত্ব কমে সন্ত্রাসীদের প্রভাবও দিনে দিনে স্তিমিত হয়ে আসবে। ‘উপজাতি’ শব্দটিই বৈষম্যমূলক। মূলধারার জনগোষ্ঠীর সাথে তাদের সম্পৃক্ত করে দূরত্ব ঘোচানো প্রয়োজন। পাহাড়ের বাইরের বাংলাদেশও তাদের দেখাতে হবে। পাহাড় যেমন সবার, তেমনি গোটা বাংলাদেশও পাহাড়িদের। তাদেরকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের সূত্রে আবদ্ধ করে পাহাড় নিয়ে বহিঃশত্রুর চক্রান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করাতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে উপজাতিদেরও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল৷ তাই দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় তাদের কাছে টেনে নেয়া ছাড়া উপায়ন্তর নেই।
[৪]
তথাকথিত উপজাতি নেতাদের দৃষ্টিতে ধর্মান্তরিত হওয়া জঘন্য অপরাধ। এতে নাকি তাদের ঐতিহ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। কিন্তু শতাব্দীকাল ব্যাপী পাহাড়ে খ্রিস্টান মিশনারিদের কার্যক্রম অবাধে চলে আসছে। উপজাতিদের বেশিরভাগই আগে বৌদ্ধ ছিল। এখন বেশিরভাগই খ্রিস্টান। নানা প্রলোভনে তাদের খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে। ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় অসংখ্য উপজাতি প্রতিনিয়ত খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছে। পাহাড়ে ক্রমবর্ধমান গির্জার সংখ্যাই তা প্রমাণ করে। তবে আজ পর্যন্ত পাহাড়ে কোনো খ্রিস্টান পাদ্রি হত্যার খবর শোনা যায়নি। বরং সন্ত্রাসীরা তাদের অনূকূলে কাজ করে। মুসলমান হওয়ার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা (রহঃ) বৌদ্ধ থেকে খ্রিস্টান হয়েছিলেন। তখন তো কেউ তাকে গুলি করেনি। তার বুকে গুলি চললো তখনই, যখন সে ইসলামকে বুকে টেনে নিল!
সুতরাং স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু মুসলমান হওয়ায়। বিভিন্ন সময় এলাকার মসজিদগুলোতে উপজাতি নওমুসলিমদের সাহায্যের জন্য আসতে দেখি। ইসলাম গ্রহণ করার কারণে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। পূর্বের ধর্মে ফিরে না গেলে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়। ফলে পাহাড়ি নওমুসলিমদের হতে হয় সমাজচ্যুত। এতকিছুর পরও রেহাই পায়না তাদের নির্যাতন থেকে। অন্যদিকে খ্রিস্টান হলে সুযোগ সুবিধার অন্ত নেই। এ কারণেই অধিকাংশ উপজাতি খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে। খ্রিস্টান মিশনারীদের কাজ অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত। পাশ্চাত্য বিশ্ব তাদের লালন-পালন করে ও ভরণপোষণ দেয়।
কিন্তু সম্প্রতি শহীদ হওয়া ওমর ফারুক ত্রিপুরার এসব কিছুই ছিলোনা৷ তবুও খ্রিস্টানদের এতসব আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ করে শুধুমাত্র ইমানি শক্তিতেই তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করেন। দুর্গম পাহাড়ে ইসলামি বিপ্লবের যে বীজ তিনি বপন করেছেন, একদিন সেই বীজ বৃহৎ বৃক্ষে রূপান্তরিত হবে। মাত্র সাতবছরে তিনি ইসলামের জন্য যা করেছেন আমরা অনেকেই সারাজীবনেও তা করতে পারিনি। এত অল্প সময়ে তার সফলতা সত্যিই ঈর্ষণীয়। আল্লাহ তার ত্যাগ ও প্রচেষ্টাকে কবুল করে নিয়েছেন। তাই তো তাকে আসমানে সম্মানিত করেছেন।
ওমর ফারুক ত্রিপুরার মৃত্যু রাষ্ট্র ও ধর্মের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহা ষড়যন্ত্রের ক্ষুদ্র এক প্রতিফলন মাত্র। নিভৃতচারী নিরীহ এই মানুষটির অপরাধ শুধু ইসলাম গ্রহণ করা এবং দ্বীন ইসলামের দিকে মানুষকে আহ্বান করা। মুসলিমদেরকে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে বাধা মনে করে। কারণ মুসলিম হওয়ার পর সাধারণ উপজাতিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর দাসত্ব থেকে বেরিয়ে যায় এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী চেতনা ঝেড়ে ফেলে। পাহাড়ে ইসলামের উত্থানকে প্রতিহত করতে তারা এক ওমরকে শহীদ করেছে ঠিকই। কিন্তু জাগিয়ে দিয়েছে সহস্র ওমরকে। আল্লাহর কাছে তার শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করি। তার মৃত্যুর মাধ্যমে তার সুমহান আদর্শ আরো সমুন্নত হবে। এখন সময় এসেছে সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে মুসলমানদের দাওয়াতি মিশন পরিচালনা করার। শহীদ ওমর ত্রিপুরার রক্তের সিড়ি বেয়েই প্রতিটি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে যাবে কালেমার বাণী।
লিখেছেনঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া
২৫/০৬/২০২১