এমন চারটি কাজ যা কখনো ত্যাগ করা আমাদের উচিৎ নয় !

Spread the love

 ১) শুকরিয়া আদায় করা। কখনো আল্লাহ্’র শুকরিয়া আদায় থেকে নিজেকে বিরত রাখবো না; তাহলে রিযিক তিনি আর বাড়িয়ে দিবেন না।

কেননা,আল্লাহ পাক বলেছেন “যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো; তাহলে আরো বাড়িয়ে দিবো।” [সূরা ইব্রাহীমঃ ৬]।

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন ‘যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাওফিক প্রাপ্ত হয়, সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামাত ও বরকত বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত হয় না।

২) সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা। কখনো আল্লাহ্’র স্মরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিত নয়,,তাহলে তিনি আমাদেরকেও আর স্মরণ করবেন না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আমার বান্দা! তুমি যখন নির্জনে আমাকে স্মরণ কর তখন আমিও তোমাকে নির্জনে স্মরণ করি। আর যখন তুমি আমাকে কোনো মজলিসে স্মরণ কর তখন আমি তার চেয়ে উওম মজলিসে তোমার আলোচনা করি।- শুআবুল ঈমান, হা. ৫৫১

কারণ,আল্লাহ সোবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন “আমাকে স্মরণ করো; আমিও তোমাদের স্মরণ করবো।” [সূরা বাক্বারাঃ ১৫২]

৩) দোআ করাঃ কখনো দোআ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবো না; তাহলে তিনি আমাদের বিপদে কখনো সাড়া দিবেন না।

কোরআনের ভাষায়”আমার কাছে দুয়া করো; আমি সাড়া দিবো।” [সূরা গাফিরঃ ৬০]।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে ডাকে না, তিনি তার উপরে ক্রুদ্ধ হন’। ইবনু মাজাহ হা/৩৮২৭. তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট দো‘আর চাইতে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর কিছু নেই’। তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। অন্যত্র বলা হয়েছে,”দোআ ব্যতীত ভাগ্য পরিবর্তন হয়না।”

৪) ইস্তেগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াঃ কখনো ক্ষমা চাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবো না; তাহলে তিনি আর নাজাত/মুক্তি দিবেন না।

কেননা,আল্লাহ পাক ওয়াদা করেছেন”আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমাপ্রার্থীদের তিনি আযাব দেন না অর্থাৎ মুক্তি দেন।” [সূরা আনফালঃ ৩৩]।

হাদিসে এসেছে, ‘সব আদম সন্তানই গুনাহগার, গুনাহগারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাওবাকারীরা।’ তিরমিজিঃ ২৪৯৯; ইবনে মাজাহঃ৪২৫১.

আল্লাহ্ আমাদেরকে তাওফিক দান করুন, আমিন।

About the author
Fawzul Kabir

Leave a Comment